নিউজ ডেস্ক: “চলো হারাই শৈশবে”- শ্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরে পদ্মা নদীর তীর ধলার মোড়ে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণিল ঘুড়ি উৎসব। বর্ণাঢ্য এই উৎসবে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সী হাজারো মানুষ।
আকাশে উড়ছে এক সুতয় শত ঘুড়ি, ড্রাগন, কংকাল, সাপ, স্টার, চিল. বাদুর, অক্টোপাস, বক্সসহ বাহারি রং ও আকৃতির ঘুড়ি। নীল আকাশকে বর্ণিল করে তোলা এই পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ। ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করেছে “ফরিদপুর সিটি পেইজ” নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
এ উৎসবে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার প্রতিযোগি বিভিন্ন আকৃতির ও রঙ্গের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেয়। আর এ উৎসব দেখতে পদ্মা নদীর তীড়ে জড়ো হয় বিভিন্ন বয়সের হাজারো দর্শনার্থী। বড়দের সঙ্গে ঘুড়ি উঠানো দেখতে আসে অনেক শিশু-কিশোররাওএই বর্নাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন করেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
উৎসব শেষে প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১০ জনকে পুরষ্কার দেয়া হয়। ঘুড়ি প্রেমিকরা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেন।
শৈশবের ভালো লাগা এই গ্রামীন ঐতিহ্য দেখতে আশা দর্শনার্থীরা জানান…
অনেক ভাল লাগছে। ঘুড়ি উড়াচ্ছি, শৈশবে ফিরে গেছি মনে হচ্ছে। এধরনের আয়োজন মাঝে মাঝে হওয়া দরকার আছে
উৎসবের আয়োজক সংগঠনের এডমিন (ফরিদপুর সিটি পেজ) এমদাদুল হাসান বলেন,
বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আগামী প্রজন্মের সাথে মেল বন্ধ ঘটানোর জন্য আমাদের আয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের মধ্যে মেল বন্ধন সৃষ্টি হবে। ঘুড়ি আমাদের বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য, আর এটাকে সারা বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন।
উৎসবের উদ্ভোদক ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসন তালুকদার বলেন, এ ধরনে উৎসব আমাদের তরুন ও যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধ প্রবনতা থেকে দুরে রাখবে। তাদের প্রতি আজকের আহবান মোবাইলে আসক্তি থেকে বিরত থেকে এ ধরনে কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার । এই সময় তিনি আরো বলেন ঘুড়ি উৎসবের মতো গ্রামীণ সকল মেলা সহ অনুষ্ঠান এই পদ্মার বুকে করার জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এদিকে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় ধলার মোড়। বিভিন্ন বয়সী লোকজনের সমাগমে উক্ত স্থানটি মুখরিত হয়ে ওঠে। উৎসবের পাশাপাশি তারা সংগ্রহ করেন বিভিন্ন রকমের ঘুড়ি। দর্শকরা আশা করেন প্রতি বছরই এ ধরনের উৎসব হবে।