1. admin@culturenews24.com : admin :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
আমরা সারা বাংলাদেশ ব্যাপী জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দিচ্ছি। আগ্রহী প্রার্থীগণ ই—মেইল এ সিভি ও ছবি পাঠিয়ে আবেদন করতে পারবেন।E-mail: newsroom@culturenews24.com, culturenews24.com@gmail.com, Mob: 01726-860079, 01856-101610. আমরা শুধুমাত্র সংস্কৃতি বিষয়ক সংবাদ প্রচার করে থাকি। (শর্ত প্রযোজ্য) বি:দ্র: সাইট উন্নয়নের কাজ চলছে...............।
সর্বশেষ
ফরিদপুরে নকল শিশু খাদ্য ও ঔষধ কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ফরিদপুরে ছাত্রলীগের উদ্দ্যোগে বিনামূল্যে গামছা, পানি ও শরবত বিতরন ফরিদপুরে ভুয়া পশু চিকিৎসকের সাজা প্রদান ফরিদপুরে ওয়েস্টার্ন পার্কে দুইদিন ব্যাপী ফ্রি মেহেদী উৎসব দারিদ্র বিমোচন যাকাতের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ফরিদপুরে ইমামদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ ফরিদপুরে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট ও কোয়ালিফাই রাউন্ড ক্রিকেট লীগ সালথায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যায় পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃক পরিবহন সুপারভাইজারের লাশ উদ্ধার ফরিদপুরে ৪২ তম জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু

মহানায়িকার প্রয়াণদিবসে সেই স্মৃতিচারণাটি প্রকাশ করা হলো

  • সময় : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪৩ বার দেখা হয়েছে।

নিজেস্ব প্রতিবেদক: “আমার দেখা উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রথম ছবি ‘হারানো সুর’। প্রথম যখন পুরান ঢাকার একটি প্রেক্ষাগৃহে (নাম মনে আসছে না) গিয়ে ছবিটি দেখি, তখন আমার বালক বয়স। পঁয়ষট্টি সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কলকাতার ছবি প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত এ জুটির অনেক ছবিই আমি দেখেছি। দুজনারই ভীষণ ভক্ত ছিলাম আমি। অনেক বছর পর যখন ভিডিও ক্যাসেটের যুগ (আশির দশক) আসে, তখন এ জুটির প্রায় সব ছবিই দেখে ফেলি। এ জুটির সর্বশেষ ছবিটি দেখি লন্ডনে, সেটি ছিল ‘সপ্তপদী’। সেই বালক বয়স থেকেই মনে একটা ইচ্ছা—যদি একবার দুজনকে সামনাসামনি দেখার সুযোগ হতো। উত্তমকুমারকে দেখার সুযোগ না হলেও হয়েছে সুচিত্রাদর্শন। তা-ও একবার নয়, তিন-তিনবার—এমন এক সময়ে, যখন তিনি চলে গেছেন একেবারে আড়ালে। যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন তাঁর মেয়ে, দুই নাতনি ছাড়া আর কেউ তাঁর দেখা পাননি। আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করি ১৯৭২ সাল থেকে। এরপর একটা সময় এল, যখন এ দেশে আমার অভিনীত অসংখ্য ছবিই ব্যবসাসফল এবং প্রশংসিত হয়েছে। সেই রকম একটি ছবি ‘সত্য মিথ্যা’ । পরিচালক এ জে মিন্টু। এ দেশে ছবিটি ব্যবসাসফল হওয়ায় ১৯৮৯ সালে কলকাতায় ছবিটির রিমেক করার চিন্তা করলেন ওখানকার প্রযোজক বিজয় খেমকা। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য ওই সময় আমি কলকাতায় যাই। তখন হঠাৎ সুপ্ত ইচ্ছার কথা মনে পড়ল। কিন্তু যাঁকেই আমার ইচ্ছার কথা বলি, তিনিই বলেন, এটা অসম্ভব। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। যেকোনো উপায়ে হোক, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে দেখা করতেই হবে।

‘সত্য মিথ্যা’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ের সঙ্গে আলাপ। কথায় কথায় তাঁকে বললাম, ‘সুচিত্রা সেনকে একনজর দেখতে চাই। আপনি ব্যবস্থা করে দিন।’ তিনি বললেন, ‘না রে, হবে না।’ এরপর ধরলাম সুপ্রিয়া দেবীকে। তাঁর সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয় ছিল। তিনি ঢাকায় আমার বাড়ির আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন। আমার বাড়ির ড্রয়িংরুমে ঢুকে তিনি দেখেছিলেন, উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর একটি বিশাল ছবি দেয়ালে টাঙানো। সেই সূত্রে ঘনিষ্ঠতা। তাঁকে ফোন করে বললাম, ‘দিদি, তোমার সাথে দেখা করতে চাই।’ বললেন, ‘চলে আয়।’ গেলাম। তাঁর বাড়িতে অনেক আড্ডা হলো। নানা কথার ফাঁকে একসময় বলে ফেললাম, ‘মিসেস সেনের দেখা পাওয়া কি সম্ভব?’ তিনি তখন বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ‘কলকাতায় তুই যেকোনো জিনিস চাইবি, আমি ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু এটা একদমই অসম্ভব।’ এরপর গেলাম অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের কাছে। তিনিও বললেন, ‘এ অসম্ভব।’ আমার এ রকম পাগলামো দেখে একজন প্রযোজক (নাম মনে পড়ছে না) আমাকে রত্না দেবীর (একজন মহিলা প্রযোজক) খোঁজ দিলেন, যিনি উত্তম ও সুচিত্রা—দুজনকে নিয়েই ছবি বানিয়েছেন। বললেন, রত্না দেবী হয়তো কোনো ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। আমি বেহালায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হলাম। তিনি বাংলাদেশের ছবির খবর রাখেন। আমাকে দেখেই চিনে ফেললেন। অনেক কথার পর বললাম ইচ্ছার কথা। তাঁর মুখেও একই কথা। বললেন, ‘এটা এখন আর সম্ভব না।’ একটু দমে গেলাম। কিন্তু আশা ছাড়লাম না। তখন আমার কলকাতার এক প্রবীণ বন্ধু বারীন ব্যানার্জি আমাকে বললেন, ‘তুমি এত কষ্ট করছ কেন? তুমি তো একজন শিল্পী। সোজা মিসেস সেনের বাড়ি চলে যাও। নিজের ভিজিটিং কার্ডে কিছু লিখে পাঠিয়ে দাও।

কাজ হলেও হতে পারে।’ আমি বললাম, ‘আমি তো বাড়ি চিনি না।’ তিনি বললেন, ‘আমি চিনি। তোমাকে আমি নিয়ে যাব।’ পরদিন তাঁর গাড়িতে চলে গেলাম বালিগঞ্জের সাকু‌র্লার রোডে; সুচিত্রা সেনের বাড়িতে। তখন ওই সড়কের নাম ছিল সম্ভবত ‘প্রমতেষ বড়ুয়া লেন’। বারীনদা আমাকে গেটের সামনে নামিয়ে বললেন, ‘আমি গাড়িতেই বসি। তুমি যাও।’ ধীর পায়ে সুচিত্রা সেনের বাড়ির গেটে গেলাম। ভিজিটিং কার্ড বের করে ভাবলাম—কী লেখা যায়। অনেক ভেবে কার্ডের পেছনে লিখলাম, ‘দিদি, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। তোমার দর্শন…।’ এতটুকু লিখে কলম থামালাম। এরপর কী লেখা উচিত, দর্শনপ্রার্থী নাকি অন্য কিছু। শেষে লিখলাম, ‘দর্শন প্রার্থনীয়।’ দারোয়ানের হাতে কার্ডটা দিয়ে বললাম দিদিকে পৌঁছে দিতে। ভেতরের বাড়িটি অনেক দূরে। সামনে বিশাল লন। দারোয়ান কার্ড নিয়ে চলে গেলেন। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। ফিরলেন প্রায় ৩০ মিনিট পর। হাতে এক টুকরা কাগজ। আমার হাতে সেই কাগজ দিয়ে হিন্দিতে যা বললেন, তার বাংলা হলো, ‘দিদি আপনাকে কাল সকাল ১০টায় ফোন করতে বলেছেন। এই কাগজে ফোন নম্বর দেওয়া আছে।’ আমি তখন বুঝে গেছি, কাজ হয়ে গেছে। রাতে হোটেলে ফিরে আমার আর ঘুম হয় না। কখন সকাল হবে। কখন ১০টা বাজবে। কখন ফোন করব। সকালে উঠে চিরকুটে লেখা নম্বরে ঠিক ১০টায় ফোন করলাম। ওপ্রান্তে একজন নারীকণ্ঠ—‘হ্যালো’। এপ্রান্তে আমি। ‘জি, আমি দিদির সাথে কথা বলব।’ ওপ্রান্ত থেকে ভেসে এল, ‘তুমি আলমগীর বলছ?’ বললাম, ‘জি।’ ফোনে শোনা গেল, ‘আমি তোমার দিদি বলছি।’ সেই মিষ্টি কণ্ঠ শুনে আমার মুখে আর কথা বের হয় না। তারপরও পাঁচ-ছয় মিনিট কথা হলো। তবু সাহস পাই না। শেষ পর্যন্ত বলে ফেললাম, ‘দিদি, আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই।’

তিনি নানা ব্যস্ততা দেখালেন, বললেন, ‘এবার সময় হবে না। পরেরবার এসো।’ আমিও নাছোড়। বললাম, ‘দিদি, তুমি কত দিন ব্যস্ত—১০ দিন, ১৫ দিন, ২০ দিন? প্রয়োজনে আমি তত দিন কলকাতায় থাকব। তবু একবার দেখা করতে চাই।’ আমার এ কথা শুনে মনে হলো, বোধ হয় দিদি একটু ভাঙলেন। তিনি একটু চুপ করে থেকে তারপর বললেন, ‘আজ তো থার্টি ফার্স্ট নাইট। নিশ্চয়ই পার্টিতে যাবে?’ বললাম, ‘জি যাব।’ বললেন, ‘পার্টিতে যাওয়ার আগে ঠিক ছয়টায় আমার বাড়ি চলে এসো। আমি তোমাকে ১৫ মিনিট সময় দেব।’ তিনটি শর্তও জুড়ে দিলেন। অন্য কাউকে সঙ্গে আনা যাবে না। কোনো ক্যামেরা অ্যালাউড না। কোনো ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা যাবে না। আমি সব শর্ত মানতে রাজি। তাঁর সঙ্গে দেখা হবে, সেটাই ছিল আসল। কলকাতার সেই সফরে আমার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু আব্বাস (পরবর্তী সময়ে ‘বেদের মেয়ে জোস্‌না’ ছবির প্রযোজক)

আপনার সামাজিক মিডিয়াতে এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2023-2024 culturenews24.com    E-mail: newsroom@culturenews24.com, culturenews24.com@gmail.com
Theme Customized By BreakingNews